ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তগুলো বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ক্ষমতায় ফিরে তিনি একের পর এক চমকপ্রদ পদক্ষেপ নিচ্ছেন, যা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও অভ্যন্তরীণ নীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।
Video link : click me
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহার: শপথ গ্রহণের পরপরই ট্রাম্প প্রশাসন ডব্লিউএইচও থেকে বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এতে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় স্বল্প ও মধ্যমেয়াদে ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশগুলোকে এখন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সরাসরি সিডিসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হতে পারে, যা বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার পরিবর্তে দ্বিপাক্ষিক মেকানিজম প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করবে।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে আসা: ট্রাম্প নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেছেন। এর ফলে বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল: ট্রাম্প সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীর তোয়াক্কা না করে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের বিধান বাতিল করেছেন। এতে অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া সন্তানরা আর নাগরিকত্ব পাবে না।
ক্যাপিটল দাঙ্গায় অভিযুক্তদের সাধারণ ক্ষমা: ২০২১ সালের ক্যাপিটল দাঙ্গায় দোষী সাব্যস্ত প্রায় ১,৫০০ জনকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। এটি বিচার বিভাগের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে।
নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নিয়োগ ও কূটনীতিকদের পদত্যাগ: সিনেটের ভোটে মার্কো রুবিওকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প। এছাড়া, পররাষ্ট্র দপ্তরের এক ডজনের বেশি জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তগুলো বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপটে নতুন সমীকরণ তৈরি করছে। তার পদক্ষেপগুলো আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, অভ্যন্তরীণ নীতি এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও পরিবেশ ব্যবস্থায় দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব
ফেলতে পারে।